শুক্রবার ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ - ১৫:৩৯
কেন শুধু আমিরুল মুমিনীন (আ.)-এর ঘরে আগুন দেওয়া হল?

হযরত আলী (আ.), বনু হাশিম, খালিদ ইবনে সাঈদ ও সাদ ইবনে উবাদা বায়াত থেকে বিরত ছিলেন।

হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, ঐতিহাসিক গ্রন্থসমূহে বর্ণিত হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর ইন্তেকালের পর খিলাফতকে ঘিরে জটিল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল। সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিমে এসেছে যে, আমিরুল মুমিনীন আলী (আ.) এবং বনু হাশিমসহ কয়েকজন সাহাবী হযরত ফাতিমা (সা.)-এর জীবদ্দশায় বায়াত করেননি।

ইবনে আসীর জাজারীর আসাদুল-গাবা গ্রন্থে উল্লেখ আছে—

হযরত আলী (আ.), বনু হাশিম, খালিদ ইবনে সাঈদ ও সাদ ইবনে উবাদা বায়াত থেকে বিরত ছিলেন।

মোট সত্তর-আশি জন সাহাবীর নাম পাওয়া যায় যারা প্রথমে বায়াত করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন। এর মধ্যে ছিলেন তালহা, জুবায়ের, এমনকি সাদ ইবনে উবাদাও প্রায় ছয় মাস পর্যন্ত বায়াত করেননি।

প্রশ্ন হচ্ছে—তাহলে কেন তাঁদের ঘরে গিয়ে চাপ প্রয়োগ করা হয়নি? কেন তাঁদের ক্ষেত্রে “ঘর পুড়িয়ে দেওয়ার” মতো ভয়-ভীতি দেখানো হয়নি?

ঐতিহাসিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, এর মূল কারণ ছিল আমিরুল মুমিনীন আলী (আ.)-এর বিশেষ মর্যাদা ও প্রভাব। তিনি ছিলেন রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর ঘনিষ্ঠতম আত্মীয়, ইসলামের বহু যুদ্ধে বিজয়ের নায়ক এবং ইসলামী সমাজে এক শক্তিশালী নেতৃত্বের প্রতীক। তাই তাঁর ঘরে একত্রিত হওয়া মানে ছিল রাজনৈতিক ও ধর্মীয়ভাবে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তোলার সম্ভাবনা।

ইতিহাসবিদরা মনে করেন, এই সম্ভাবনাই শাসকগোষ্ঠীকে বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন করেছিল। তাই অন্যান্য যারা বায়াত করেননি তাঁদের প্রতি এমন হুমকি উচ্চারণ করা হয়নি, বরং চাপ প্রয়োগের লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল আলী (আ.)-এর ঘরকে।

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha